মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ জাতীয় পরিচয়পত্রের দিয়েও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অফিস ঘেরাও করে করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ এলাকায় অসহায় ও কর্মহীন প্রায় তিন শ মানুষ ত্রাণ পাননি জানিয়ে কাউন্সিলর কার্যালয় ঘেরাও ও মিছিল করেন।
খবর পেয়ে বন্দর ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম ও এসআই গোপাল ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থানের অনুরোধ জানান। তাদের দাবি নিয়ে কাউন্সিলরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা নাসিক ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ-কর্ম একেবারেই বন্ধ। আমরা ঘর থেকে বেরুতে পারি না। সরকারের দেওয়া লকডাউনে আমরা কঠিন বিপদে আছি। আমরা পেটের দায়ে বাইরে বেরুইলে পুলিশ পিটায়। কাজ না করলে খামু কি। কাউন্সিলর হান্নান সরকার আমাদের আইডি কার্ড নিয়ে গেছে, খাবার ঘরে পৌঁছে দেবে বলে। আজ ১০দিন হয়ে গেলে কোনো খাবার এখনো পাই নাই। সে তার নিজস্ব লোকদের মাধ্যমে গভীর রাতে ভ্যানগাড়ি দিয়া খাবার তার নির্দিষ্ট ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। অথচ আমাদের চিৎকার সে শুনতে পায় না। এ জন্য আমরা কাউন্সিলর হান্নান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামছি। খাবার না পাইলে এই লকডাউন দিয়ে আমরা কী করমু। কপালে যদি ভাইরাসে মরণ থাকে মরমু কিন্তু না খাইয়া মরতে পারুম না। আমরা এমন লকডাউন মানি না’।
বিধবা নারগিছ আক্তার বলেন, ‘আইডি কার্ড দিছি ১০ দিন আগে। কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অফিসে গেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। বলে খাবার ঘরে পৌঁছে যাবে, পরে আর যায় না। এ জন্য আমরা তাকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর বানিয়েছিলাম। তার কাছে আমাগো মতো গরিব মাইনসের কোনো মূল্য নাই। শুনছি সরকারের দেওয়া ত্রাণ নাকি তার অফিসে আইছে। তাহলে আমাদের খাবার কই? আমরা কি না খাইয়া মইরা যামু। আমাদের কান্না তার কান অব্দি পৌঁছায় না। আমাদের কান্নার জলের দাম তার কাছে মূল্যহীন। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের খাবার দেন নইলে লকডাউন তুলে দেন’।
অভিযুক্ত ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন, ‘আমি আমার ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে সব সময় কাজ করছি। কেউ কেউ দরিদ্র মানুষদের পুঁজি করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তাদের ইন্ধন দিয়ে বিক্ষোভ করাচ্ছে। যা মোটেই ঠিক করছে না। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও সিটি করপোরেশনের দেওয়া সহায়তাসহ আমার নিজস্ব উদ্যোগেও পাঁচ শ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। সব জায়গায় একইভাবে হয়তো দিতে পারি নাই। তবে একটু ধৈর্য ধরলে আশা করি সবার বাড়িতে খাবার পৌঁছে যাবে ইনশা আল্লাহ’। বন্দর ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা পদক্ষেপ নেবেন।
Leave a Reply